রাজশাহী বিভাগীয় চীফ এম কে সৈয়দ তন্ময় : গোদাগাড়ী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে পদ্মানদীর তীরে অবস্থিত ১৯০৫ সালে নির্মিত প্রাচীন বিদ্যাপিঠ গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ। সময়ের পরিবর্তনে এই বিদ্যালয়ের নতুন নাম করণ করা হয়েছে গোদাগাড়ী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজে। এই বিদ্যালয় হতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী পাস করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দান করেছেন বা করছেন। বিদ্যালয়টি অনেক পুরাতন হওয়াই পশ্চিম পাশের পাঠদানের বিল্ডিং গুলো ছাদের ইট, রড পড়ে বড় বড় দূর্ঘটানাও ঘটতো । ক্লাস আরম্ভ হলে শিক্ষার্থীদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করত কখন হয়তো ছাদের তলা ধসে মাথার উপর পড়বে।
ঠিক যখন এই অবস্থা চলমান তখন বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্ব প্রদান করেন আওয়ামীলীগ সরকার আর স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্ব প্রদান করেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী জেলা আওয়ামলীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি সাংসদ নির্বাচিত হবার পর গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের এই মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজটিকে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন ২০১১-১২ অর্থ বছর সময়ে তিনি শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন কালে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪ তলা ভিত বিশিষ্ট তিন তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর করে শিক্ষার বিস্তার লাভে সুযোগ করে দেন। আর এই প্রতিষ্ঠানটিতে নির্ভিগ্নে শিক্ষা প্রহণ করতে পেরে হাজারো শিক্ষার্থী, শিক্ষক কর্মচারী আনন্দিত, উল্লাসিত ও সরকারের মহিতি কাজের প্রশংসয় মুখরিত ।
জানা যায়, ২০১২ সালের দিকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে মডেল প্রকল্পের আওয়াতায় একাডেমিক ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেই সেই সময় গোদাগাড়ী স্বনাম ধন্য বিদ্যাপিট এই আওয়াতয় আনার সুযোগ করে দেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। প্রায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪ তলা ভিত বিশিষ্ট ৩ তলার একাডেমিক মডেল ভবন তৈরীর কাজ শুরু হয়। ভবনটি দেখতেও যে কারো নজর কারে। তিন তলা ভবনে রয়েছে ১০ টি কক্ষ দুইটি ল্যাব রুম।
এর মধ্যে রয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। ডিজিটাল ল্যাবে প্রদান করা হয়েছে ১৭ টি লাপটপ যা শিক্ষার্থীরা অনায়েসে কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পাই। এছাড়াও মডেল প্রকল্পের আওতাও আরো আছে ১০ টি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ডেস্ক টপ সেট, ১ টি স্ক্যানার, ২ টি প্রিন্টার, ১ টি সার্ভার। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে স্থানীয় সাংসদ ফারুক চৌধুরীর সহায়তায় নতুন ভবনে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য ৩৫০ জোড়া বেঞ্চ সেট, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে খেলাধূলা বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি যা আনুমানিক মূল্য প্রায় আড়াই লাখের উপর।
এছাড়াও বিদ্যালয়ে মডেল প্রকল্পের আওতায় এ গ্রাইন্ড পায়েন্টিং নির্মান ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে । গোদাগাড়ী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের সপ্তর শ্রেণীর ছাত্র মোঃ নাঈম বলেন আমাদের নতুন একাডেমিক ভবনে এখন নির্ভিগ্নে ক্লাস করতে ভাল লাগে স্যারেরাও আমাদের ঠিকমত ক্লাসে আসেন। পুরাতন ভবনে ক্লাস করতে মনে ভয় কাজ করত। সদ্য এসএসপি পাশকৃত ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন পুরাতন ভবনে ক্লাস করতে মনে ভয় কাজ করত বাবা মা জানত যে স্কুল ভবনের ছাদ নাকি ধসে পড়ে এই তিনি তারাও উদ্বীগ্ন থাকত।
গোদাগাড়ী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান মাসুম বলেন, বহু পুরাতন জীর্ণশির্ণ ভবটিতে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে ক্লাস নিতে ভয় হতো আমরা নতুন ভবন পেয়ে এখন স্বাচ্ছন্দে ক্লাস নিতে পারি। পুরাতন বিল্ডিং এ প্রায় ৪ শত জন শিক্ষার্থী বসে ক্লাস করতে পারত এখন তিন তলা ভবনটিতে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে। গোদাগাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাইনুল ইসলাম বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আমরা নতুন একাডেমিক ভবন পেয়ে শিক্ষা লাভের পথ সুগম হয়েছে । তিনি স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নতুন একাডেমি ভবন সম্পন্ন হলে ২০১৩ সালে ৫ সেপ্টমবর শেখ হাসিনা গোদাগাড়ী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজে ৪ তলা বিশিষ্ট তিন তলা ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন। এই ভনটিরই পূর্ণ সাইট স্থাপন করেন ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালিন শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।
গোদাগাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজে নতুন ভবন, হাজারো শিক্ষার্থীর শিক্ষার আলো

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।